

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রকাশিত ভ্রমণবই ‘প্রত্নকথা’–এর আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে দেশের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অবঃ), শিল্প ও গৃহায়ন-গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোঃ শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোঃ নিজাম উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) মোঃ মফিদুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনটিএমসি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, এসবি পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ গোলাম রসুল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া।
ভ্রমণবই ‘প্রত্নকথা’ সম্পর্কে
ভ্রমণবইটি সম্পাদনা করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জনাব শরীফ উল্যাহ। বইটিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬২টি প্রত্নতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় স্থানের সচিত্র বিবরণ, অবস্থান, ইতিহাস ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এতে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য তিনটি ‘একদিনে ঘোরা যায়’ এমন ভ্রমণ পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জেলা ও উপজেলার মানচিত্র, আবাসন ও যাতায়াত ব্যবস্থা, কিউআর কোড সংযুক্ত করে অনলাইন পিডিএফ সংস্করণসহ বইটি বাংলা ও ইংরেজি—উভয় ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের বক্তব্য
জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন,
“প্রত্ননগরীখ্যাত মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পর্যটন সম্ভাবনাকে তুলে ধরতেই আমাদের এই প্রয়াস। বইটি জেলার পর্যটন উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন এবং দেশের পর্যটন শিল্পে অবদান রাখবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।”
তিনি আরও জানান, বইটি পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর এবং পর্যটন কেন্দ্রসমূহে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ভবিষ্যৎ গুরুত্ব
এই বইটি শুধু একটি তথ্যভিত্তিক প্রকাশনা নয়, বরং মুন্সীগঞ্জ জেলার পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সারা দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।