

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতির মঞ্চে হুসাইন মোঃ সাইদুল ইসলাম সাইদ একটি পরিচিত নাম। জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠন জাসাসের (জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা) একজন সক্রিয়, নিবেদিত ও নিরলস সংগঠক হিসেবে তিনি দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে ১৯৯৯ সালে ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে পথচলা শুরু। সেই সময় থেকেই আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আসছেন তিনি। ছাত্রজীবনে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাসাসের সফল সভাপতি, পাশাপাশি ছিলেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক, বিশেষ সম্পাদক এবং বর্তমানে আছেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে।
২০০৭ সালের ১/১১-এর পরে যখন রাজনীতির মাঠে অন্ধকার নেমে এসেছিল, ঠিক তখনই ঢাকার রাজপথে সক্রিয় থাকেন সাইদুল সাইদ। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরে গ্রেফতার হয়ে ৪৭ দিন কারাভোগের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেন, রাজনীতি তাঁর জন্য শুধু দায়িত্বই নয়, একরকম ব্রতও।
২০২২ ও ২০২৩ সালের বিএনপির ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ, ২৮ অক্টোবর পুলিশের গুলির ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী হয়ে রাজপথে সাহসিকতার পরিচয়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপকমিটির সদস্য হিসেবে নোয়াখালী, ফেনী, রাঙ্গামাটি ও লক্ষ্মীপুর সফর—সবই তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাসাস কমিটি পুনর্গঠন করেন। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কালচারাল র্যালি, মিলাদ মাহফিল, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন, হিন্দি গানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপসহ অসংখ্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়েছেন।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাসাসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তাঁর নেতৃত্বে গৃহীত উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
আকাশ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কার্যকর আন্দোলন;কালচারাল কনভেনশন ও শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা; শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন;বাংলা নববর্ষ উদযাপন ও রাস্তায় আলপনা অঙ্কন;শহীদ আমান উল্লাহ আমনের স্মরণসভা।
সাংগঠনিকভাবে তিনি এম এ মালেক ও মনির খাঁন কমিটিতে রাজশাহী বিভাগীয় উপকমিটির সদস্য ছিলেন। একইসঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ তাঁর নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতির বাস্তব প্রতিফলন।
শিক্ষাজীবনে তিনি ২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃত বিষয়ে অনার্স এবং ২০০৫ সালে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার শৈলজানা গ্রামে ১৯৮১ সালের ৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে চতুর্থ সন্তান।
হুসাইন মোঃ সাইদুল ইসলাম সাইদ শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি একাধারে একজন সাংস্কৃতিক সংগঠক, একজন সংগ্রামী কর্মী এবং জাতীয়তাবাদী চেতনার একজন প্রকৃত ধারক। জাসাস ও বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা আজও উজ্জ্বল ও প্রাসঙ্গিক।