

মোঃ রুবেল: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের কালিরচর এলাকায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
রোববার (২৯ জুন) সকাল ১০টায় মেঘনা নদীর পাড়ে আয়োজিত এই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, যুবকসহ সর্বস্তরের শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি ও রেকর্ডীয় (রেকডীয়) সম্পত্তি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, চরআব্দুল্লাহ মৌজায় সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল ঘোষণা করা হয়নি। অথচ পাশের ভাষানচর মৌজায় ঘোষিত বালুমহালের সুবিধা নিতে কালিরচর ও চরআব্দুল্লাহ এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। তারা বলেন, ভাষানচর মৌজাটি বসতবাড়ি ও গুচ্ছগ্রাম দ্বারা ঘেরা হওয়ায় সেখানে কার্যকরভাবে বালু উত্তোলন সম্ভব নয়।
এলাকাবাসীর দাবি, ভাষানচর মৌজায় যেসব জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত, তার বেশিরভাগ অংশে গুচ্ছগ্রাম স্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে ১নং খতিয়ানের জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হলে আশেপাশের গ্রামের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, কালিরচর ও চরআব্দুল্লাহ এলাকায় হাজারো পরিবারের বসবাস। ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে নদীভাঙনের ঝুঁকি বাড়বে এবং রেকর্ডীয় সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যাবে।
মানববন্ধনে নারীরা প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে হাতে ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এ সময় বক্তারা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ভাষানচর বালুমহাল ঘোষণার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকা সরেজমিনে জরিপ করে উপযুক্ততা যাচাই করা উচিত ছিল।
উল্লেখ্য, ভাষানচর মৌজার বালুমহালটি ১৪৩২ সনের জন্য মেসার্স মনির এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ মনিরুজ্জামানের নামে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইজারার শর্ত লঙ্ঘন করে কালিরচর ও চরআব্দুল্লাহ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, যা পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য চরম হুমকি। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।