

মুন্সীগঞ্জ (টঙ্গীবাড়ী) প্রতিনিধি: টংগিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রির ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বৈধ এজেন্টরা। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখিতভাবে অভিযোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড-এর বৈধ এজেন্ট এবং “মেসার্স মনির ট্রেডার্স”-এর স্বত্বাধিকারী মোঃ মনিরুল ইসলাম।
প্রেরিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স (টংগিবাড়ী বাজার), গঙ্গা ট্রেডার্স (কালিবাড়ী বাজার), মনির ট্রেডার্স (দিঘিরপাড় বাজার), হোসেন এন্টারপ্রাইজ (দিঘিরপাড়), বালিগাঁও ফিলিং ষ্টেশন এবং সোনারং কে আলী ফিলিং ষ্টেশনসহ মোট ৬টি বৈধ জ্বালানি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এরা সকলেই সরকার নির্ধারিত মূল্যে ও বিধিমালা মেনে তেল বিক্রি করে আসছেন।
তবে এসব বৈধ প্রতিষ্ঠানের বাইরে উপজেলার সিদ্ধেশ্বরী বাজারের “মায়ের দোয়া ষ্টোর”, হাসাইল বাজারের “মোসলেম ষ্টোর” ও “রাজিব ষ্টোর” সহ বিভিন্ন মুদি দোকানে অবৈধভাবে খোলা তেল বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, এসব দোকানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে নিজেরা দাম নির্ধারণ করে তেল বিক্রি করা হচ্ছে, যা একদিকে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা, অন্যদিকে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
বৈধ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব অনৈতিক কার্যকলাপের ফলে বাজারে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে এবং নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনাকারীরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেইসঙ্গে সৃষ্ট দুর্ঘটনার দায়দায়িত্বও শেষ পর্যন্ত তাদের ওপরই চাপছে।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সরকারের আইন মেনে ব্যবসা করি, অথচ আমাদেরই বারবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ—অবৈধ তেল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে অবৈধ জ্বালানি তৈল বিক্রয় বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা চায় সচেতন মহল।