এডিবির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টার বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সচিবালয়ে আজ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এডিবি সদর দপ্তরের সিনিয়র ডিরেক্টর তারিক এইচ. নিয়াজি এবং এডিবি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং।
বৈঠকে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের কৃষিজমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় এক শতাংশ হারে আবাদযোগ্য জমি হারিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। এ বিষয়ে কৃষিজমির মানচিত্র প্রণয়ন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা জোরদারে এডিবির কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা কামনা করেন তিনি।
এছাড়া, তিনি জলবায়ু অভিযোজনের কার্যকর উপায় হিসেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ কার্যক্রম বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। স্থানীয় পর্যায়ে গড়ে ওঠা ছোট ছোট পানি উদ্যোগগুলোকে জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণে এডিবির সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা। তিনি আরও জানান, সরকার বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (BCDP)-এর আওতায় টেকসই প্রকল্প প্রণয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং শিগগিরই শর্টলিস্ট করা প্রকল্পসমূহ এডিবির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে।
এডিবির সিনিয়র ডিরেক্টর তারিক এইচ. নিয়াজি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে। জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অতিরিক্ত অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত এডিবি। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং জানান, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আকর্ষণে এডিবির চলমান উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে মার্কেট ডেভেলপমেন্ট অফিসের একটি মিশন ঢাকা সফর করবে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ নদী পুনরুদ্ধার, পানি ব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু অভিযোজন সংক্রান্ত দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য পাইলট প্রকল্পসমূহ এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এডিবির প্রিন্সিপাল ইকোনমিস্ট সমীর খাতিওয়াদা, প্রিন্সিপাল পাবলিক সেক্টর স্পেশালিস্ট সন্দীপ ভট্টাচার্য এবং সিনিয়র ক্লাইমেট চেঞ্জ অফিসার মৌসুমি পারভীন।
